
পরিচালকের বানী

শিক্ষা, দীক্ষা ও অভিজ্ঞতা এই তিনটি জিনিস একটা জাতির মূল চালিকা শক্তি। আমি যদি কিছু জানি তাহলে আমি জ্ঞানী আর আমি যদি সঠিক কিছু জানি তাহলে আমি শিক্ষিত, আমি যদি সঠিকটা মানতে পারি তাহলে আমি দীক্ষিত বা দক্ষ, আর আমি যদি সঠিকটা দীর্ঘ কাল ধরে মানতে পারি এবং এর ফলে আমার যে বিশেষ পারদর্শীতা তৈরি হয় তাকে বলা হয় অভিজ্ঞতা। বাজারে অভিজ্ঞ মানুষদের চাহিদা আকাশচুম্মী কিন্তু সে তুলনায় অভিজ্ঞ মানুষের যোগান কম। তাছাড়া অভিজ্ঞতা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া চাইলেই অভিজ্ঞ মানুষ পাওয়া যায় না। কারণ তারা কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে অলরেডি জড়িত আছে। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা জব সেক্টর গুলো অভিজ্ঞ মানুষ না পেলেও অন্তত দক্ষ মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমি আবার বলছি, দক্ষতা মানে কাজটা নিজে নিজে করতে পারা। নিজে নিজে একটা কাজ নিজের হাত দিয়ে করলে আমরা সহজে তা আর কখনই ভুলি না। যেমন নিজে নিজে সাইকেল চালিয়েছি হয়তো ১০ বছর আগে তাবে এখন হঠাৎ করে যদি কেউ যদি একটা সাইকেল হাতে ধরিয়ে দিয়ে চালাতে বলে তবে নিশ্চয় পারবো। ফ্রিল্যান্সিং পদ্ধতিতে যদি আমরা আউটসোর্সিং করতে চাই অর্থাৎ দেশে বসে বাইরের দেশের ক্লাইন্টদের কাজ করে দিয়ে তাদের থেকে ডলার বা বৈদেশিক মূদ্যা উপার্জন করত চাই তাহলে অমাদের সবার ডিজিটাল লিটারেসি থাকতে হবে অর্থাৎ আই.টি রিলেটেড তথা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রিলেটেড কাজগুলোতে দক্ষ হতে হবে। দক্ষতা রাতারাতি তৈরি করা যায় না। তাই নিজেকে সবার চেয়ে সমনে এগিয়ে নিতে চাইলে সময় থাকতেই অল্প অল্প করে শিক্ষার পাশাপাশি দীক্ষা গ্রহণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আর আপনার দীক্ষা গ্রহণে সকল প্রকার সাহায্য করতে তুহিন ইন্সটিটিউট অব ট্রেনিং এর যত আয়োজন।

দক্ষতা কিনুন। আপনি কেন দক্ষতা কিনতে পারছেন না? কারণ আপনি দক্ষতার সঠিক দামটি দিতে পারছেন না। আই.টি যে কোন একটা তিন থেকে ৬ মাসের কোর্স এ শিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষিত হয়ে দক্ষতা অর্জনের পর কিছুদিন কাজ করে মুটামুটি অভিজ্ঞ হতে পারলেই ব্যাস। ফ্রিল্যান্সিং করে লোকাল বা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট থেকে মাসে গড়ে ৫০,০০০/= টাকা উপার্জন করা খুবই সহজ। যে কোর্সটি করলেই আপনি মাসে গড়ে ৫০,০০০/= টাকা ইনকাম করবেন সেই কোর্সটি করতে গিয়ে আপনি যদি নিকট ভবিষ্যতের একমাসের টাকা খরচ না করেন তাহলে কার বাবার এত ঠ্যাঁকা পড়ে গেছে আপনাকে বিনা পয়সায় খেঁটেখুটে বড়লোক করবে? হয়তো আপনি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে কোথাও বসে পড়েছেন কোর্সটি করতে। কিন্তু আপনি কাঁচের দামে যতই চেষ্টা করে হীরা কিনতে সেটা কি সম্ভব? যেখানে সমান্য কিছু কৌশল আপনাকে শিখিয়ে দিলেই আপনি রাতারাতি স্বাবলম্বী হয়ে যাবেন সে কৌশলগুলো রপ্ত করতে হয়তো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ইন্সটিটিউট বিশেষের বছরের পর বছর কাজ করতে হয়েছে। তাদের অবশ্যই একটা ডিমান্ড থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি পানি দামে বা বিনা পয়সায় সেই কৌশলগুলো রপ্ত করার চেষ্টা করে তাহলে আপনাকে নিজে নিজেই চেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে বছরের পর বছর। কিন্ত আপনি যদি রাতারাতি কৌশলগুলো রপ্ত করতে চান তাহলে একজন প্রশিক্ষককে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। মাছের বাজারের মত এসে কোর্স এর দাম দর করলে হবে না। ইন্সটিটিউট যে কোর্স ফি দাবী করবে তা কষ্ট করে হলেও পরিশোধ করুন। এতে প্রশিক্ষক পক্ষ ও প্রশিক্ষণার্থী পক্ষ উভয়েরই কোর্সটি সুসম্পন্ন করার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

হতাশ হওয়ার কিছু নাই।।। আমাদের এখান থেকে একটা তিন মাসের কোর্স করলেন মানেই যে আপনার সাথে আমাদের তিন মাস পর সকল সম্পর্ক শেষ তা না। আমাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখলে পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং অথবা ব্যবসা অথবা চাকরি যেটাই করতে যান না কেন কাজ করতে যেয়ে যদি কোনরকম ট্রাবল ফেইস করেন সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। সেটা ওভার ফোন হোক অথবা অনলাইনে হোক অথবা সরাসরি আমাদের অফিসে এসে হোক। প্রকৃতপক্ষে আপনাদের সফলতায় আমাদের সফলতা। তাই আমরা সব সময় আপনাদের সফলতা কামনা করি। আপনাকে সফল করতে আমরা আপনার সহযোদ্ধা।

যারা চাকুরী খুঁজছেন অনেকদিন ধরে কিন্তু চাকুরী পাচ্ছেন না। ভাইভা দিচ্ছেন কিন্তু চাকুরী হচ্ছে না। তাদের জন্য এই লেখাটা। দেখেন আপনি আমার ছেলেকে চিনেন কিনা তা আপনার দুই চারটা কথা শুনলেই বুঝা যাবে ঠিক তেমনি আপনাকে আমার কোম্পানিতে যে কাজের জন্য নিয়োগ দিতে চাচ্ছি সে কাজটাতে আপনি দক্ষ কিনা তা আপনার দুই চারটা কথা শুনলেই বুঝা যাবে। একটা কাজে দক্ষ মানে সে কাজটা করে দেখাতে পারা। আর আপনি যদি কাজটা করে দেখাতে না ই পারেন তাহলে আপনাকে আমি কেন সে কাজটা দিবো? আবার আমার হাতে এতটা সময়ও নেই যে আপনাকে ধরে ধরে হাতে কলমে সে কাজটা শিখিয়ে নিবো। আবার ৬ মাস ধরে আপনাকে কাজটা শিখিয়ে দক্ষ করেই বা আমার কী লাভ? আপনি যদি অন্য কোম্পানিতে সুইজ করেন? তাহলে? তাইতো আমি শুধু না পৃথিবীর যে কোন ইমপ্লোয়ার মানে চাকুরী দাতারাই আপনাকে দক্ষতা না থাকলে কোনরূপ চাকুরী দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। আপনি নিজেকে সাত পাঁচ নানা কিছু ভাবতে পারেন কিন্তু চাকুরীদাতা আপনাকে কী ভাবছি তার উপর ভিত্তি করে আপনার চাকুরীটা হবে অথবা হবে না। তাই প্রথমে আপনাকে ব্যাগার খাটতে হবে। বসে থাকার চেয়ে ব্যাগার খাটা ভালো। কারণ ব্যাগার খাটতে খাটতে আপনি দক্ষ হয়ে গেলে খেল খতম। এবার আপনার ভ্যালু ক্রিয়েট হতে থাকবে। আপনাকে এবার বেতন না দিয়ে কোম্পানি কই যাবে। কারণ আপনার দ্বারা কোম্পানি স্বাক্ষাত লাভের মুখ দেখা শুরু করেছে। আপনাকে কোম্পানি তখন ধুপ-সিঁদুর দিয়ে পুঁজো করা শুরু করবে। কিন্তু আপনি যদি প্রথমেই দক্ষতা না দেখিয়ে একটা টাকাও বেতন ডিমান্ড করে থাকেন তাহলেই বিপদ কারণ কোম্পানি আপনার এরুপ আচরণে আপনাকে ভাইভা বোর্ড থেকেই কিক আউট করবে। তাই আপনার ভাষ্যটা এমন হওয়া উচিত যে, আমাকে কাজটা কারা সুযোগ দেন আমি কাজটা শিখতে চাই। তাই বেতনের উদ্দেশ্যে নয় বরং কাজটা শিখাই যদি আপনার মূল উদ্দেশ্য হয় তাহলে আপনার জন্য কাজটা বা জবটা পাওয়া অধিকরত সহজ হবে। আন্তত আপনার কপাল থেকে বেকারত্বের সীলটা তো মুছে গেল। যোগ্যতা তৈরি করতে পারলে যে কোন কোম্পানি আপনাকে যোগ্য পারিশ্রমিক দিতে বাধ্য। কিন্তু যোগ্যতা প্রমাণ না করে আগেই যদি আপনি পারিশ্রমিক নিয়ে ভাইভা বোর্ডের লোকজনকে জেরা শুরু করেন সেটা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। সবার জন্য শুভ কামনা ।

মানুষগুলো ভয়ানক বস্তুবাদী হয়ে উঠেছে। যদিও সবাই জানে একদিন হঠাৎ এ বস্তুগত পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে চলে যেতে হবে। সঙ্গে যাবে শুধু অবস্তুগত অর্জনগুলো। তবু ও আমরা ভয়ানকভাবে বস্তুবাদী হয়ে উঠেছি। আমরা ভুলেই গেছি যে আমরা মরণশীল। এই সুন্দর পৃথিবীটাও একদিন চিরদিনের জন্য বিলিন হয়ে যাবে। রিজিকদাতা আল্লাহ্ কে ভুলে আমরা বাড়ী-গাড়ী আর পার্থিব যত ভোগ বিলাসে পারি নিজেকে নিমগ্ন রাখছি। শিক্ষা তথা সত্যের বানী থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। সত্যিকারের শিক্ষা শিক্ষক অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া আজকাল বড়ই মুশকিলের ব্যাপার। সবাই ব্যবসায়ী মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠছে। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করা মানুষগুলোকে সৎ করা তথা সম্মানবোধে জাগ্রত করা কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সত্য সততা সম্পন্ন সৎ মানুষ তৈরি করাতো দূরের কথা তারা শিক্ষা কিনবা সততার সঠিক সংজ্ঞাই জানে না যদিও শিক্ষা জীবন তথা দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষিত হিসেবে বড় বড় ডিগ্রিগুলো নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বস্তুবাদী মানুষগুলো মানুষত্ব্যহীন বিবেক হীন পেটের ক্ষুধায় তাড়িত হয়ে যা খুশি তা করে বেড়াচ্ছে। নিজের ভাইকে শয়তানের বাচ্চা বলে গালি দিচ্ছে কিন্তু সে গালি যে ঘুরে ফিরে নিজেরই গায়েই লাগছে সে দিকে তাদের কোনরূপ খেয়াল নাই। শিক্ষকতার মতো মহান পেশা গ্রহণ করে আজ আমি এই সমাজে সব চেয়ে নিকৃষ্ট, সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, ক্ষুধার্ত তবু যেন আত্মার সজীবতায় অক্লান্ত নিবেদিত প্রাণ বিশেষ।
